দীর্ঘ ২৮ বছর পর সচল হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এ উপলক্ষ্যে ডাকসু সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে শুরু হয়েছে ডাকসুর নির্বাহী কমিটির সভা। শনিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই সভা শুরু হয়।
এ সভার মধ্য দিয়েই মূলত আগামী এক বছরের জন্য ডাকসু কার্যকর হচ্ছে। সভা শেষে কমিটি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শিখা চিরন্তনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এই সভায় ডাকসুর ভিপি/জিএস/এজিএসসহ ডাকসুর নির্বাচিত ২৫ জন প্রতিনিধি দায়িত্ব নিবেন। জানা গেছে, এই সভাতে কিছু আলোচ্যসূচি নির্ধারণের বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে সিন্ডিকেটে ডাকসুর পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি নির্ধারণের বিষয়ও রয়েছে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন দুপুরে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে অন্য চারটি প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন বর্জন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর প্যানেল। তবে ফল ঘোষণার পর জানা যায় এই প্যানেল থেকেই ভিপি পদে জয় পেয়েছেন নুর।
এর আগে গত ১৬ মার্চ ডাকসুর ২৫জন নেতা ও ১৮টি হল সংসদের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলেও একই কারণে তিনি দায়িত্ব নিবেন না।
দায়িত্ব গ্রহণ কেন করবেন না এমন বিষয়ে লামিয়া তানজিন তানহা বলেন, ‘আমি নির্বাচন বর্জন করেছি। পুরো ক্যাম্পাসের একজন ছাত্রের ভোটাধিকারও যদি হরণ করা হয় সে নির্বাচন গ্রহণ আমার আদর্শের মধ্যে পড়ে না। আমি ক্যাম্পাসের সবার অধিকার রক্ষার্থে কাজ করার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার অধিকার রক্ষার্থে সোচ্চার ছিলাম। এখন আমি নির্বাচিত হয়েছি আমার হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে এটা হয়নি। এই দিক বিবেচনা করে আমি নির্বাচন বর্জন করেছি এবং গণভবনে যায়নি এবং দায়িত্ব নিব না। এটা প্রতিবাদে একটা অংশ।’