সব কিছু ঠিক থাকলে আজ বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর বসবে নবম স্প্যান। এর ফলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ১৩৫০ মিটার (১.৩৫ কিলোমিটার)।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে নবম স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে (সুপার স্ট্রাকচার) ‘৬ডি’ ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে বুধবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’। যা এখন জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে এই স্প্যানটিকে ক্রেনে ফিটিং করে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। নদীতে যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ বসবে তার মধ্যে ২০৯টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে ৫৩টি পাইল ড্রাইভ। মোট ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৪১টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। তবে এখন পর্যন্ত স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।