গত ১০ বছরে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যাতে দেশে আর কোনও হতদরিদ্র না থাকে। আজ বুধবার সকালে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,’বাংলাদেশের গ্রামে দারিদ্রে হাহাকার, থাকার জায়গা নেই, খাওয়া কিছু নেই এই কষ্টগুলো বাবাকে ব্যথিত করেছে এবং সেজন্যই তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কষ্ট স্বীকার করে গেছেন। তাঁর কষ্টের কারণেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রের জাতি হিসেবে পেয়েছি মর্যাদা। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি এক সময় বাংলাদেশে হত দরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।\’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যাব যেন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরই মধ্যে আমাদের জিডিপি\’র প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক এক তিন শতাংশ হয়েছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়ে এক হাজার ৯শ ৯ ডলার হয়েছে। এ অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাত্রা ধরে রাখতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, \’২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ১০২ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটির সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং কাজের সুবিধার্থে একটি উপ কমিটিও করে দেয়া হবে। এই আয়োজন তৃণমূল পর্যায়ে উদযাপন করা হবে যাতে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের মানুষ উদ্বুদ্ধ হতে পারে।\’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুই দেশকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। যদি ১৫ই আগস্ট না হত তাহলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত জাতি হিসেবে মর্যাদা পেত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস বারবার বিকৃতি করা হয়েছে সেখান থেকে তিনি ফিরে আনার চেষ্টা করেছেন।