শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টায় মেয়র ও কমিশনার

শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বুধবার পৌনে ১২টার দিকে প্রগতি সরণিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র (বিইউপি) শিক্ষার্থীদের মাঝে হাজির হন তারা। মাইকে এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা মিটিং করব। আমাদের সড়কের সিস্টেম কিভাবে আপডেট করা যায়, তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। সেই অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি আমরা সাত দিন পরপর জানাব। একটি নিরাপদ শহর গড়তে আমি নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

ফুটওভারব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র বলেন, আমরা জনগণ, শিক্ষার্থী— সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা সাজেশন দিন। আমরা নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কাজ করতে চাই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন করে প্রতিনিধিকে নিয়ে আমরা ডিএনসিসি অফিসে মিটিং করব। অনেক শিক্ষার্থী জানতে চায়, তারা কিভাবে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে সম্পৃক্ত হবে। আমি মনে করি, আপনারা ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে আসুন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে আমি কাউন্সিল করতে চাই। আমাদের নিরাপদ সড়ক গড়ার যে চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলয় নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কাজ করার বিকল্প নেই।

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ডিএনসিসি আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৮ দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন। আজ সকাল ৮টা থেকে তারা আবারও রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।

Scroll to Top