‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, শ্লোগানে ‘আমার ভাই মরল কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘মায়ের বুক খালি কেন প্রশাসন জবাব চাই’ ‘একশন একশন ডাইরেক্ট একশন’ ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ভাই হত্যার ফাঁসি চাই’ সহ নানা শ্লোগানে রাস্তা অবরোধ করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) দুই শতাধিকি শিক্ষার্থী।
যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এতে রামপুরা সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তার সহপাঠীরা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত নামের একটি বাস আবরারকে চাপা দেয়।
ঘটনার পর পরই নিহতের সহপাঠীরা রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করতে থাকে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধে যোগ দিয়েছে।
বিইউপি শিক্ষার্থী ও আবরারের সহপাঠী মাহমুদুল হাসান মাহি বলেন, আজ সকালে সুপ্রভাতের বাসচাপায় আবরার গুরুতর আহত হয়। সিএমএইচে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের সঙ্গে আমাদের আরও দু’জন সহপাঠী ছিল। তারা আমাদের জানালে আমরা সকালে নর্দায় যাই। এরপর আমাদের সঙ্গে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদে অংশ নেয়।
বিইউপির আরেক শিক্ষার্থী জীবন পারভেজ জানান, আমাদের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আমরা রাস্তায় নেমেছি। কোনও অবস্থাতেই আমরা রাস্তা থেকে যাবো না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা থাকবে।
মিম জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন এই শহরে কেউ না কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। কিন্তু কারও কোনও সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। বিচার না হওয়ার কারণে দিনের পর দিন দুর্ঘটনার সংখ্যা যেমন বাড়ছে মায়ের বুকও তেমন ভাবেই খালি হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
ডিএমপির গুলশান জোনের (বাড্ডা) সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব রহমান বলেন, সকালে ৭টার দিকে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় আবরার নামের ওই ছাত্র মারা যান। এরপর থেকেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়েছি কিন্তু তারা কোনও অবস্থাতেও রাস্তা ছাড়ছে না।
তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘাতক বাস ও চালককে আটক করেছি। নিহতের লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীতে গত রবিবার (১৭ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চমবারের মতো ট্রাফিক সপ্তাহ। এরই মধ্যে বাসচাপায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো।