তীয় ধাপে ১১৬টি উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, এখন চলছে গণণা। আজ সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় কাজ করছে বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পার্বত্য তিন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীও।
বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশ না নেয়ায় এই ধাপেও ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিলো বলে জানা গেছে। এদিকে, ভোটকেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩ জেএসএস প্রার্থী। আর দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ২৪ জন।
দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে আদালতের আদেশে একটি এবং বিভিন্ন সমস্যায় ৬টি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। আর সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ছয়টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়নি।
নওগাঁ সদর, পাবনা সদর, ফরিদপুর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও রাউজান উপজেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোট হচ্ছে ১১৬ উপজেলায়। এসব উপজেলার মধ্যে আর কোনও প্রার্থী না থাকায় ভোটের আগেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে আছেন ২৪ জন। এছাড়া, বেশ কিছু উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
যে সব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হলো সেগুলো হলো, বগুড়ার আদমদিঘী ও শেরপুর, দিনাজপুরের সদর, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও পার্বতীপুর, নওগাঁ সদর, রংপুরের কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া, পাবনা সদর ও সুজানগর, ফরিদপুর সদর, মৌলভীবাজার সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া, রাঙামাটির লংগদু ও কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও সদর এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডু, সন্দ্বীপ এবং হাটহাজারী।
এর আগে, ভোটের নিরপত্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ জানান, ‘কোনো কোনো কর্মকর্তা তাদের নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে হয়তো কোনও প্রার্থীর পক্ষে সে কাজ করতে চায়। এগুলো নজরে আসার সাথে সাথেই যেই করুক না কেনো, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, আনসার, বিজিবির পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, পার্বত্য অঞ্চলের ২৫ উপজেলায় ভোটের আগে পরে ৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এক কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন ভোটারের জন্য সাত হাজার ৩৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দ্বিতীয়ধাপে উপজেলা নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১৩১০ জন। ১১৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৭৭ প্রার্থী। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৯ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩৯৪ জন প্রার্থী।
পাঁচ ধাপের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম ধাপের ভোট ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোট যথাক্রমে ২৪ ও ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পঞ্চম ধাপের নির্বাচন জুন মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।