জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল পৌনে ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুল দেন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
এরপর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাব।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এদিকে সকাল ১০টায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। পরে তারা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে যোগ দেবেন। সেখানে শিশু সমাবেশ, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।