সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলেই দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে তিনি একথা জানান।
কাঁচপুরের চারলেন বিশিষ্ট সেতুটি উদ্বোধন ছাড়াও ভুলতায় একটি চারলেন ফ্লাইওভার এবং ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে লতিফপুরে একটি রেলওয়ে ওভারপাসও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরলে তাকে নিয়ে ব্রিজটি দেখতে যাবো। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
এ সময় সেতুতে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন যেন না উঠতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও তিনটি নদীর ওপর চার লেনের সেতু নির্মিত হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তা চার লেন করা হয়েছে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৪০০ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৮ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকটা কমে আসবে। দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে এবং খুব শিগগির এ সেতু দুটিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম কোম্পানি লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর পাশাপাশি দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী জুনে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার মাস আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতুর পাশাপাশি তিনটি চার লেনের সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুভোর্গের অবসান ঘটবে বলে আরএইচডি’র কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন।