দৃশ্যমান হতে চলেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগামীকাল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হবে এই সুপার স্ট্রাকচার। প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা নাসির টিপু জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে তিনি সুপার স্ট্রাকচার স্থাপন কাজ পরিদর্শন করবেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে তা তুলে ধরবেন বলে তারা আশাবাদী।
আর এর মধ্য দিয়ে ডানা মেলতে শুরু করবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সময় ও সুযোগ হলে পিলারের ওপর সুপার স্ট্রাকচার স্থাপনে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে জাজিরা প্রান্তে আসবেন বলে আশাবাদী।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মরত প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধায় পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার পথে। কর্মরত সবাই এর অংশ হিসাবে থাকতে পেরে গর্বিত মনে করছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পিয়ারের ওপর সুপার স্ট্রাকচার স্থাপন করা হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী সূত্র জানা যায়, মাওয়া প্রান্ত থেকে সুপার স্ট্রাকচারটি ভাসমান ক্রেনে করে জাজিরা প্রান্তে আনা হয়। এখন সুপার স্ট্রাকচার বসানোর আগে বেয়ারিং কাজ চলছে। বেয়ারিং সেতুর ভূকম্পন রোধ করে এবং ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে থাকে।
পিয়ারের ওপর যে স্প্যান বসানো হবে তার কাজও শেষ। পিয়ার দুটির কংক্রিটের শক্তি ৫০ মেগা প্যাসকেল অর্জন করলেই তার ওপর স্প্যান বসানো হবে। এ ছাড়া বর্তমানে এখন পিয়ারের বেয়ারিং এবং সাটারিং খোলার কাজ চলছে।
সুপার স্ট্রাকচার বহনকারী ভাসমান ক্রেন ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলার এলাকায় আসতে নদীর আরো গভীরতা প্রয়োজন, তাই ড্রেজিং করা হচ্ছে।
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ জনসাধারণের জন্য খুলের দেয়া হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এযাবৎকালে দেশের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি