একটানা তিন দিনের ছুটিতে রাজধানী ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। কেউ বাড়িতে ফিরছেন প্রিয়জনের কাছে, কেউ যাচ্ছেন বেড়াতে। শুক্র-শনিবারের সঙ্গে ১৭ মার্চের বাড়তি ছুটি যোগ হওয়ায় দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চে টিকিট সংকট দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। সিলেটগামী পারাবত, চট্টগ্রামগামী সোনারবাংলা, তিস্তা, প্রভাতী, রংপুর এক্সপ্রেসসহ কোন ট্রেনেই ফাঁকা ছিল না সিট। ট্রেনের ছাদেও দেখা গেছে মানুষের ভিড়।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল চট্টগ্রামগামী সব ট্রেনে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ভিড় শুরু হয়েছিল। ছুটির কারণে প্রায় দশ দিন আগে টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। বহু লোক স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সড়কপথেও ছিল যাত্রীর ভিড়। তাদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য নানা পর্যটন স্থানে। এর মধ্যে সিলেট-কক্সবাজার ভ্রমণপিপাসু বেশি। ভিড় দেখা গেছে রাজারবাগ, কলাবাগান, আরামবাগ, ফকিরাপুলের বাস কাউন্টারে।
এনা পরিবহনের ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সব বাস টিকিট এক সপ্তাহ আগেই শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিক।
শ্যামলী পরিবহনের কর্মকর্তা জীবন চক্রবর্তী জানান, ছুটির কারণে আগেই লোকে টিকিট নিয়ে গেছেন। চাহিদা দেখে অতিরিক্ত বাস নামনো হয়েছে। সেসব বাসেও যাত্রী অগ্রিম টিকিট কেটেছেন।
নেই আকাশপথের টিকিটও। ব্যস্ত দেখা গেছে বিমানসহ বিভিন্ন বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে। শুক্রবার সকাল থেকেই দেশীয় এয়ালাইন্সগুলোর কোনো টিকেট মিলছে না। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, দুপুরে-বিকেলে ঢাকা থেকে সিলেটগামী দু’টি ফ্লাইটের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রামের বিকেলের ৩টি ফ্লাইটে এখনও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
তবে বেসরকারি এয়ালাইন্স নভোএয়ারের ঢাকা-কক্সবাজারের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, রাজধানী ফাঁকা থাকায় ছুটির চাপ পড়েছে সব মহাসড়কে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই যানজট ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। এতে আটকে পড়ে দূরপালার শত শত যাত্রীবাহী অসংখ্য বাস, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক।