পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আরও ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল\’স এর শিক্ষার্থী রেহনুমা তাবাসসুম দোলার লাশ।
এর আগে গত ৬ মার্চ চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ দুই বান্ধবীর মধ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টির মরদেহ শনাক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, শনাক্ত হওয়া পাঁচজন হলেন- রেহনুমা তাবাসসুম দোলা, হাজী ইসমাইল, ফয়সাল সারোওয়ার, মোস্তফা ও জাফর।
এ নিয়ে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ১৬টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও দু’টি মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার এই দু’জনের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এখনও দু’টি মরদেহ ও তিনটি পরিবারের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে রয়েছে। তবে দুই মরদেহের সঙ্গে এই ৩ পরিবারের কারও ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। এগুলো মর্গে থাকবে। কেউ মরদেহগুলোর দাবি করলে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘মরদেহ শনাক্তের কাজটি দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ ছিল। ঘটনার পরপর দু’টি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আলামত সংগ্রহ করি। এছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর অন্যান্য রুটিন কাজ বাদ দিয়ে পরিচয় শনাক্তের কাজটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করেছি।’ ’
এর আগে ৬ মার্চ ১১ জনের মরদেহ শনাক্ত করে সিআইডি। তারা হচ্ছেন, ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান, নুরুল হক।
২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ঘটনাস্থলে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও ৪ জন মারা যান।
এদিকে, পুড়ে যাওয়া লাশের অংশ একজনের লাশ হিসেবে গণনায় ধরায় চকবাজারের আগুনে নিহত মোট সংখ্যা থেকে একটি সংখ্যা কমে আসবে বলে জানিয়েছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ।