ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন চলাকালে বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় ডাকসুর সদ্য নির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদা।
আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় নূর ও লিটন ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর এবং রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মৌসুমীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে অভিযোগ ওঠে, রোকেয়া হলের একটি কক্ষে সিলগালা করা তিনটি ব্যালট বাক্স গোপনভাবে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নুরুল হক এবং পরিষদের কয়েকজন সদস্য হল প্রভোস্টের কাছে যান। তারা ওই কক্ষের ভেতরে কী আছে, তা দেখতে চান।
সেখানে থাকা পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক প্রার্থী আকরাম হোসেন অভিযোগ করেন, হল প্রভোস্ট তাকে ওই কক্ষে যেতে বাধা দেন। প্রক্টর ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার না আসা পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়।
এর একটু পর প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মফিদুর রহমান, প্রভোস্ট জিনাত হুদা, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এর পর তাদের সামনেই তারা ওই ঘরে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে নুরুল হক বাইরে এসে সেখানে কী আলোচনা হয়েছিল, সেটা বলতে গেলে তার ওপর হামলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা নুরুল হকের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাকে মাটিতে ফেলে আঘাত করা হয়। হামলার পর নুরুল হককে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। গণমাধ্যমের একটি গাড়িতে করে বেসরকারি একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গতকাল রাতে লাঞ্ছিত ও ভাঙচুরের অভিযোগে নুরুল হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন জিনাত হুদা।