ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনা চলছে। রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হল ছাড়া প্রায় সব হলেই ভোট গণনা চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) মেশিনে এই ভোট গণনা চলছে।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন প্রায় শেষের দিকে। আমি বিভিন্ন হল থেকে খবর যেভাবে পাচ্ছি তাতে ৭-৮টি হলে ভোট গ্রহণ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। হয়তো এর মধ্যে আরও কয়েকটি হলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। এই ৭-৮ টি হলের মধ্যে আমার ধারণা ৪-৫টি হলে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। আমাদের যে টিমকে ভোট গণনায় নিয়োজিত করেছি, তারা তাদের মেশিনপত্র নিয়ে এরই মধ্যে ১০টি হলে অবস্থান করছে।’
স্থগিত কেন্দ্রের বিষয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনায় আমরা ১ ঘণ্টা স্থগিত রেখেছিলাম। সেটা আবার চালু হয়েছে। আর রোকেয়া হলের ঘটনায় আমরা বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই সেখানে গিয়েছি এবং আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে ৩টায় নতুন করে নির্বাচন শুরু হয়েছে।সেখানে ভোট গ্রহণ চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত হল গেটের ভেতরের সব ভোটার ভোট দেবেন। তাদের সবার ভোট নেওয়া হবে যতক্ষণ সময় লাগে।’
তিনি আরও জানান, ‘হলে ভোট গণনা হবে। গণনা শেষে ফলাফল হল থেকে এবং চূড়ান্ত ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘোষণা করা হবে।’
জহুরুল হক হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমার হলে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গণনার প্রস্তুতি চলছে। আমার জানা মতে রোকেয়া ও কুয়েত মৈত্রী ছাড়া অন্য হলগুলো ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তারাও গণনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আব্দুর রহিম জানান, ‘রোকেয়া হলে ভোট গ্রহণ আবার শুরু হয়েছে।’
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুপুরে ভোট বর্জন করেন ছাত্রলীগ ছাড়া সবকটি প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি তারা ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
তবে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া খুবই উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। ২৮ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ( ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২২৯ জন প্রার্থী। ডাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২৩ জন।