রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার নাম জামশিদা। নিখোঁজ একই পরিবারের বাকি ৫ সদস্যদের উদ্ধারেও অভিযান চালাচ্ছে নৌ পুলিশ, নৌ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ সিকদার জানান, তাদের ডুবুরিদের পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পুলিশের সদস্যরা রাত থেকে বুড়িগঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। কিন্তু নদীতে প্রচুর নৌযান চলাচল করায় কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।
শাহজালাল মিয়া নামের এক গার্মেন্ট কর্মী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ থেকে নৌকায় করে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শরীয়তপুরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।
রাত ১০টার দিকে সদরঘাটের ১৩ নম্বর পন্টুনের কাছে সুরভি-৭ লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায় বলে নৌ-পুলিশের সদরঘাট ফাঁড়ির ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান। এ সময় লঞ্চের প্রপেলারের আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নৌ পুলিশের টহলদল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও নিখোঁজ হয় ছয়জন। তারা হলেন – শাহজালালের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩০), তাদের দুই সন্তান মিম (৮) ও মাহী (৬), শাহজালালের ভাগ্নি জামশেদা বেগম (২১), জামশেদার স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৩০) এবং তাদের তিন মাসের মেয়ে স্নেহা। ৩৮ বছর বয়সী শাহজালালকে প্রথমে মিটফোর্ড এবং পরে সেখান থেকে জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুর্নবাসন (পঙ্গু হাসপাতাল) কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
বিআইডব্লিউটিএ- এর ঢাকা নৌবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ওই নৌকার যাত্রীরা লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। তাদের পন্টুন দিয়ে ওঠার কথা থাকলেও লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চের পেছন দিক দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু লঞ্চ তখন পেছন দিকে যাওয়ায় প্রপেলারের ঢেউয়ের ধাক্কায় ছোট নৌকাটি ডুবে যায়।