সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা তরুণদের কর্মসংস্থান ও চাকরির বয়স বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বয়স বাড়ানো আশ্বাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল কাদের আগামী মাসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই।
চাকরির বয়স বাড়ানো নিয়ে সরকারের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ইশতেহারে এ বিষয়ে (বয়স বৃদ্ধি) আলোচনা এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই এ বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন। কেবল তো সরকারের এক মাস অতিক্রম করলাম। একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ে কোনো কার্যক্রম আছে কিনা- প্রশ্নে ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কেই নির্দেশনা দেবেন। আমরা নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে তখন আমরা কাজ শুরু করবো।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ইশতেহারে যা যা আছে আমরা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো।
গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ের পর ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দায়িত্ব নেওয়ার পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এটা হবে। যখন এটা ঘোষণা করা হয়েছে এর মানে অনেক চিন্তা-ভাবনা সুপরিকল্পনা করেই ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন সেটা করেন। আমরা চাইবো খুব দ্রুত এটা হয়ে যাবে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর এবং অবসরের বয়স ৫৯ বছর। ১৯৯১ সালের জুলাইয়ে বয়স ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। একই বছরের ডিসেম্বরে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৫৯ বছর।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান বয়সসীমা ৩২ বছর।
এর আগে গতবছরের শেষ দিকে বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব ৩২ বছর করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটিতে অগ্রগতি হয়নি। তবে চাকরিপ্রত্যাশীরা গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।