কর্ণফুলীকে বাঁচাতে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান। নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ, র্যাব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা ও র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজের নেতৃত্বে দুই শতাধিক পুলিশ ও র্যাব সদস্য উচ্ছেদ অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করছেন।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, সদরঘাট থানার এলাকার কর্ণফুলী ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হইনি।
সোমবার উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনেই ছোট-বড় শতাধিক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনে তা বন্ধ করতে বিভিন্ন দিক থেকে হুমকি পেয়েছিলেন বলে জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে দুই হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তালিকা ধরে এখন এসব স্থাপনা উচ্ছেদে নেমেছে তারা।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস