একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের কার্যসূচি শুরু হচ্ছে রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায়। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি নব গঠিত সরকারের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী বছরের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দিয়ে থাকেন। পরে সেই ভাষণের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে সংসদে তা পাস হয়। সাধারণত রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর সংসদের অধিবেশনের মুলতবি ঘোষণা হয়।
এবারও প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। টানা তিনদিন বিরতির পর রোববার বিকেলে আবারও বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। দ্বিতীয় দিনের কার্যসূচিতে প্রথমেই রয়েছে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা। এরপর কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে আনীত জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত নোটিশের ওপর আলোচনা। স্পিকার চাইলে দিনের এই কার্যসূচি স্থগিতসহ অন্যান্য কার্যসূচি যুক্ত বা বাদ দিতে পারেন।
এরপর গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের দেওয়া ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করবেন নব নিযুক্ত চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। পরে চীফ হুইপের তালিকা অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। সাধারণত রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার সুযোগ পাবেন সংসদ সদস্যরা। এমনকি নিজ নির্বাচনী এলাকার সমস্যা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
দ্বিতীয় দিন যে সকল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীগণ প্রশ্নের উত্তর দেবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী। দ্বিতীয় দিনেই যেসকল মন্ত্রীগণ প্রশ্নের জবাবে দেবেন তাদের অনেকেই জীবনের প্রথমবার সংসদে মন্ত্রী হয়ে জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাবে দেবেন।
তবে স্পিকার চাইলে দিনের কার্যসূচি পরিবর্তন করতে পারেন বা সংযোজন করতে পারেন। জানা গেছে দ্বিতীয় দিনে একাদশ সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন ছাড়াও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন হতে পারে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস