সরকারি হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত না করলে চিকিৎসকদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২৭ জানুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চিকিৎসকদের দুই বছর ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করতে হবে, এক বছর থাকতে হবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে।’
দায়িত্ব পালনে ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলা পেলে চাকরি থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে হবে। নতুবা আপনাদের ওএসডি করা হবে, চাকরি থাকবে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সবাই যেন সঠিক শিক্ষা নিয়ে চিকিৎসক হন, সেজন্য মনিটর বাড়াতে হবে। যারা রোগীর সেবা করবে না তাদের এই পেশায় আসার দরকার নেই।’
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতি আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন। মান ও সেবা দুটোরই উন্নয়ন প্রয়োজন। আগামীতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আরও বড় মাপের হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।’
আগামীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ আরও সম্প্রসারণ করা হবে। আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল কলেজগুলোতে চিকিৎসা বিদ্যায় পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে৷ তাদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রোগীদের নিবিড় সেবা দিতে নার্সদের কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন।’
সব সরকারি হাসপাতালে রেফারেল পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিতি নিশ্চিতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে হবে।’
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।