আল কায়দার মতাদর্শে পরিচালিত সংগঠন জামায়াতুল মুসলিমিনের (জেএম) প্রতিষ্ঠাতা লেকহেড গ্রামার স্কুলের সাবেক মালিক ও ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিনেতা রিজওয়ান হারুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জঙ্গিনেতা হারুন জেএম’র প্রত্যক্ষ মদদদাতা।
রবিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির (রোড নং-৬/এ) ঈদগাহ মসজিদের সামনে থেকে রেজওয়ানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম। রিজওয়ান হারুন লেকহেড গ্রামার স্কুলের সাবেক মালিক। সে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গুলশান থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান ব্রেকিংনিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১০মে সকালে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন রিজওয়ান। এরপর তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। কারণ এর আগে থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তাকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই স্কুলে আলোচিত অনেক জঙ্গি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে রিজওয়ান হারুনকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই চিঠির আলোকে ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উপ-সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ সদর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে রিজওয়ানের সন্ধান না পেয়ে ২০১৭ সালের ১৫ মে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তার বাবা হারুন রশীদ। ওই জিডিতে বলা হয়, ১১ মে বিকেলে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে একটি কালো রঙের গাড়িতে রিজওয়ানকে তুলে নেওয়া হয়েছিল।
সর্বশেষ জামাতুল মুসলিমিনের আমির ছিলো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রেজাউর রাজ্জাক। গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর ড. রেজাউর রাজ্জাক মালয়েশিয়া পালিয়ে যায়।