স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গত ১০ বছর দেশজুড়ে অবকাঠামোগত নানা উন্নয়ন হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত। আমাদের লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ। তাই আগামী পাঁচ বছর হবে বিশ্বকে তাক লাগানোর বছর। এ পাঁচ বছর দেশের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নে প্রতিটি গ্রামে শহরের সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। গ্রাম পাবে শহরের সব ধরনের সুবিধা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবনে (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। গুণগত কাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা দেশে আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নে চমক দেখাতে চাই।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। তিনি অন্যায় ও অবিচার মুক্ত একটি গর্বিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যার কারণে স্বাধীনতার সুফল জনগণের নিকট পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি। এই হত্যার কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন স্থিমিত হয়ে গেছে। জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনের আশা-আকাঙ্খা অপূর্ণ রয়ে গেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের উন্নত দেশগুলির গ্রামীন অবস্থা সম্পর্কে যে জ্ঞান আছে, সেখান থেকে অথবা কর্মকর্তাদের উন্নত দেশগুলির গ্রামের অবস্থা বাস্তবিক অভিজ্ঞতা গ্রহণ করে আমাদের কর্মসূচিগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করব।
তিনি আরও বলেন, টার্গেট নিয়ে গুণগত মান বজায় রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করব এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
এসময় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ব্যতিক্রম কিছু করে দেখানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি উন্নয়নের বড় বাধা। এর ফলে অবকাঠামো উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে। এর ফাঁক দিয়ে কেউ যদি করে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না সে যেই হোক না কেন। কারণ, তিনি নিজে দুর্নীতি করবেন না; অন্যকেও এ কাজে ছাড় দেওয়া হবে না।
অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমন্বয়ের প্রসঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, আমরা যেহেতু মন্ত্রিসভার সদস্য। আর মন্ত্রিসভার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। উনি মূল কেন্দ্রবিন্দু। আর মন্ত্রীর মধ্যে পরষ্পর সহযোগিতা তো থাকবেই। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। অতীতের কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রাজউকসহ যে সংস্থাগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা হবে।
এর আগে মোঃ তাজুল ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে বঙ্গবন্ধুর ম্যুাড়ালের সামনে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাত শেষে এলজিইডি ভবনের অফিসরুম প্রর্দশন করেন। সেসময় কর্মকর্তারা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং এলজিইডি-র প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নগরবাসীর উন্নত জীবনমান নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। সময়ের পরিক্রমায় এ শহর বদলে যাবে। নতুন প্রজন্ম একটি আধুনিক ঢাকা পাবে।