খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তালুকদার আবদুল খালেক। তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
উপমন্ত্রী হিসেবে সোমবার শপথ নেন হাবিবুন নাহার। রাজনৈতিক এ দম্পতিকে ঘিরে খুলনায় চলছে নানা আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তাদের নিয়ে প্রশংসা সূচক মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
নিঃসন্তান এই দম্পতি বাস করেন খুলনা মহানগরীর মুন্সীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তালুকদার আবদুল খালেক ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত তৎকালীন খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার ছিলেন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ ও ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ২০০৮ খুলনা সিটি মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৩ সালে পরাজিত হলেও সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসন থেকে পদত্যাগ করেন তালুকদার আবদুল খালেক। পরে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার সহধর্মিনী বেগম হাবিবুন নাহার।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বেগম হাবিবুন নাহার বাগেরহাট-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। সোমবার বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মুন্সী মো. মাহাবুব আলম সোহাগ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। এবারও তাই করেছেন। মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও তার স্ত্রী উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের নেতৃত্বে এ অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে বিশ্বাস করি।