নতুন বছরের শুরুর দিনে উৎসবে মেতেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।নতুন বইয়ের গন্ধ শুকে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয়া হচ্ছে।
ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পৃথক পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উৎসবে নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি পাঠ্যপুস্তক তুলে দিচ্ছে সরকার।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর পিইপি ও জেএসসির ফলাফলের দিন শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার সারা দেশে ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দুই মন্ত্রণালয়। এজন্য ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সকালে আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইনটেলেকচ্যুয়াল ডেভেলপমেন্ট এবং আমাদের শিক্ষাকে বিশ্বমানের করে তোলা। আমরা সেটি পারব। আমাদের নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই সেটি সম্ভব।
তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে, নেতৃত্ব দেবে এবং বিশ্ব সমাজে আমাদের দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে আমরা বিশ্ব সমাজের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে স্থান করে নিতে পারি।
তরুণ শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং দক্ষতা দিয়ে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলাই হচ্ছে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আর আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্যই যারা এই দায়িত্ব পালন করবেন তারা হচ্ছেন আমাদের এই নতুন প্রজন্ম, আমাদের এই শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে বিশ্বমানের শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলা হবে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে ‘বই উৎসব দিবস’ পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সকাল ৯টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল, দাখিল (ভোকেশনাল) ও এসএসসি (ভোকেশনাল) স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস