রাজধানীর বাসিন্দাদের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ক্ষেত্র বিশেষে দুই থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ট্যাক্স বাড়ানোর এমন হারকে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মনে করেন ভবন মালিকরা।
সিটি করপোরেশনের দাবি, উন্নয়ন কাজের জন্য করপোরেশনের আয় বাড়াতে আবাসিক-বাণিজ্যিক এবং নতুনের সাথে পুরোনো ভবনের ট্যাক্সের অসমতা কাটাতে এই উদ্যোগ। বাড়তি টাকা দিতে হবে ২০১৬ এর জুলাই থেকে।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোরান এলাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকাটিতে যাতায়াতের রাস্তা সাতটি। যার মধ্যে ছয়টির অবস্থায় বেহাল। শুধু রাস্তাই নয়। এলাকাটি আবাসিক হলেও পরিবেশগত দিক দিয়ে নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন।
এমন অবস্থায় উন্নয়েনর অর্থ যোগন দিতে ভবন মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স কয়েক গুণ বাড়িয়েছে সিটি করপোরেশন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার উন্নয়ন না করে অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো অযোক্তিক।
বর্তমানে তিন স্তরে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে ফলে দেখা দিয়েছে বৈষম্য । আর এ অসমতা দূর করতে এ ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
তবে সিটি করপোরেশনের এমন উদ্যেগে ক্ষোভ জানিয়েছে ভবন মালিকরা। অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স না কমালে বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর হুঁশিয়ারি তাদের।
এক্ষেত্রে বাড়ির মালিকদের যদি কোনো আপত্তি থাকে তাহলে রিভিউ করতে পারবেন বলে জানাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।
যে অঞ্চলের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় হতো ২০০ কোটি নতুন হারে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ