মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন স্বল্প খরচে যোগাযোগ করতে পারে, সেজন্য কক্সবাজারের প্রতিটি ক্যাম্পে সরকার বুথ স্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টেলিটকের বুথ বসাচ্ছি যেন রোহিঙ্গারা যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়।’
শনিবার বিটিআরসি ভবনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে মোবাইল সিম বিক্রি সংক্রান্ত সভা শেষে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তারানা হালিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৌলিক অধিকার, খাদ্য, আশ্রয় এবং স্থায়ী বাসস্থানের জন্য প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সব রকমের সহযোগিতার জন্য সরকার হাত প্রসারিত করেছে। এই মানবিক দিকটি বিবেচনায় রেখে আমরা বুথ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আজকে এমটিএমসি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পাসপোর্ট অথোরিটি, এনআইডিসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও আমরা (বিটিআরসি) কথা বলেছি।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগের দিকে যেন দৃষ্টি দিতে পারি সভায় সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে। কেবলমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থ নয়- সকল অপারেটররা যেন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার দিকেও গুরুত্ব দেন সভায় সে বিষয়টিও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
তারানা হালিম বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে এবং সরেজমিনে দেখা গেছে, যেসব শরণার্থী এসেছেন তাদের অনেকেই মোবাইল হ্যান্ডসেট ও সিম ব্যবহার করছেন। বিষয়টি আমরা মূলত সকলেই জানি এবং আমরা বলতে পারি যে, বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড ছাড়া কোনো সিম একটিভ হবার কথা নয়। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, এক্ষেত্রে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি হচ্ছে, কিছু লোক বাড়তি অর্থের লোভে তাদের নিজেদের বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড সিমটি বেশি দামে বিক্রি করেছেন শরণার্থীদের কাছে। যেটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
যারা রোহিঙ্গাদের হাতে নিবন্ধিত সিম তুলে দিয়েছেন তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কাছে যে অপারেটরের সিম পাওয়া যাবে, নিয়মানুযায়ী তাদের জরিমানা করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৮ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ