গত মাসের শেষ থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামার পর থেকে ঐ অঞ্চলের স্থানীয় অর্থনীতিতে পড়েছে ব্যাপক প্রভাব। স্থানীয়রা বলছেন, বাজারে চাল, মাছ থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।
টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা এবং বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য আদিল চৌধুরি বলছিলেন, রোহিঙ্গাদের একটি একটি বড় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে তার উপজেলায়। সেই সঙ্গে আছে প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে নতুন নতুন মানুষের অব্যহত আগমন।
ফলে স্থানীয় বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়েছে। চাল, ডাল, মাছ আর আলুর মত নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
আদিল চৌধুরি জানিয়েছেন, টেকনাফে কর্মরত সিগারেট কোম্পানির ডিলারদের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন সেখানে তিনদিন তিন লক্ষ টাকার সিগারেট এবং বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ দিনে লক্ষ টাকার সিগারেট ও বিড়ি বিক্রি হয়।
দোকানিরা বাড়তি জনসংখ্যার চাপকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেও দাম বাড়াচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের।
কিন্তু বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবারহ বাড়েনি। ফলে দাম বাড়ানোর জন্য সেটিও দায়ী বলে মনে করেন মি. চৌধুরি। আর পুরো অবস্থার জন্য স্থানীয় মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে।
আদিল চৌধুরি আরো বলছিলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আসার ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য বাজার সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে না থেকে আশেপাশে আত্মীয়-বাড়ি কিংবা বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছে। এরপর তারা স্থানীয় শ্রম বাজারেও ঢুকে পড়ছে।
আর সংখ্যায় অনেক হওয়ায়, তাদের চিহ্নিত করা যায় না অনেক সময়। সেকারণে স্থানীয় মানুষদের কাজের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকায় গত তিন সপ্তাহে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
যদিও সীমান্তরক্ষী ও স্থানীয় পুলিশ বলছে, এ সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠলে এর সাথে জড়িত লোকদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু স্থানীয়রা মনে করেন, পরিস্থিতির কারণেই কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনা। খবর বিবিসি বাংলার।
বাংলাদেশ সময় : ১২২৬ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ