রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। তবে তাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে মানবিক দিকটা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনসিুল হক।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে নবনিযুক্ত সহকারী জজদের ৩৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে প্রথমেই আমরা মানবিক দিকটা বিবেচনা করছি। এটা বিবেচনায় নিয়েই রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় দিচ্ছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদের কাছে এটা হচ্ছে ১৯৭১ এর পুনরাভ্যত্থান।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে যা হচ্ছে সেটা মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু আভ্যন্তরীণ ব্যাপার এই পর্যায়ে যেতে পারে না। তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে না। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথেষ্ট কাজ করছে। এ কাজে বেশ সফলতাও অর্জন করেছে। এটা আপাতত চালিয়ে যাওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যদি মনে করে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে। যেটা বসনিয়ায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই যেমন তারা আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছিল। রোহিঙ্গারা যদি সেটা আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যায়। সেটা তো আর আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।’
ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন,‘অ্যাটর্নি জেনারেলকে আমি যখন চিঠি দেব তখনই তিনি মনে করবেন রিভিউ দাখিল করার সরকারের ফরমালি সিদ্ধান্ত। সেটাই যদি হয় তাহলে সে ব্যবস্থা করা হবে।’
এসব বিষয় ভেবে চিন্তে এবং রায়টি অত্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই রিভিউ করা হবে।
কবে নাগাদ রিভিউ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এখনই বলা বলা যাচ্ছে না। রায়টি নিবিড় পর্যালোচনা শেষেই রিভিউ করার কথা জানান তিনি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি মুসা খালিদের সভাপতত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম