‘মিয়ানমারে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তাতে কি তাদের বিবেককে নাড়া দেয় না? একজনের ভুলে এভাবে লাখ লাখ মানুষ ঘরহারা হচ্ছে। আমরা শান্তি চাই।’
মঙ্গলবার বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এর আগে বেলা সোয়া ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে গাড়ি বহরে কুতুপালংয়ের উদ্দেশে রওনা হন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ক্যাম্পে পৌঁছান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমাদের মানুষদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মানুষ উপায় না পেয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। তাই আমাদের যতটুকু সামর্থ আছে সাহায্য করছি। এ বিষয়ে আমরা কমিটিও করে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাদ্য, আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যা করার দরকার আমরা সেটি করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সবার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি। সেখানে আরও ২/৫/৭ লাখ মানুষকেও খেতে দিতে পারবো।’
এ সময় তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন যারা যুবক তারা হয়তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। কিন্তু আমরা দেখেছি। তাই রোহিঙ্গাদের যেন কোনও কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ