মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কেটে নেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থগিতাদেশসহ এ রুল জারি করেন।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন।
গত ২৭ আগস্ট রিট দায়েরের পর ইউনুছ আলী বলেছিলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ৬নং অনুচ্ছেদ অনুসারে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটা হবে, অন্যদের কাটা হবে না। এটি সমতার লঙ্ঘন। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক’।
‘গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে’।
ইউনুছ আলী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন’।
‘সুতরাং, এ সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতির পরিপন্থী। এ কারণে দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়া কেন অবৈধ নয়- এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস