যথা সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলা করার সুযোগ নেই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের সব নিয়মকানুন যারা ভেঙে ফেলেছিল, কোন মুখে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে।’ কিছু সুশীলের কারণেও এ দেশে জনগণের ভোটাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে। কিন্তু ভোটে জেতার সামর্থ্য নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তখন হাসি পায়। কেননা এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। হ্যা-না ভোটের নামে তামাশা করেছিলেন। আর এর বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিএনপি মাগুরায় এবং ঢাকায় মিরপুরের উপনির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। বিপরীতে আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকার ব্যবস্থাসহ নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল।’
ভোটাধিকার জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল তাতে বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু সুবিধাবাদী সুশীল আছেন, যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ আছে। কিন্তু নির্বাচনে জেতার সামর্থ্য নেই। এদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ পূরণ করতেই অনেক সময় জনগণকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার, ভোটাধিকার হারাতে হয়।’
দেশে মিয়ানমার থেকে শরণার্থী আসছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও দেশের নাগরিক অন্য দেশে আশ্রয় নেয়াটা সে দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। সেটা মিয়ানমারের বোঝা উচিত। বাংলাদেশে আসা সে দেশের নাগরিকদের তাদের ফেরত নেয়া উচিত এবং নিরাপদ আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।’
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস