নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ‘আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশন’র (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত দুটি শূন্য আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ, চীন ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (দক্ষিণ কোরিয়া)-এর তিন প্রার্থী। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনের প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহিত বলেন, “বাংলাদেশের এই জয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২.০ এর প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের আস্থা ও বিশ্বাস, এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানেরই স্বীকৃতি।”
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস কমিশন (আইসিএসসি) হল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিশন-যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, কর্মীদের প্রাপ্যতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং সুপারিশ করার কাজ করে থাকে এই কমিশন।
পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির (ইকনমিক ও ফিন্যান্সিয়াল কমিটি) চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি UNDP/UNFPA/UNOPS- এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালে জাতিসংঘ পিস বিল্ডিং কমিশনের চেয়ার, ২০২৩ সালে জাতিসংঘ পিস বিল্ডিং কমিশনের ভাইস-চেয়ার, ২০২২ সালে UN-Women-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৩ সালে UNDP/UNFPA/UNOPS-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত ৪ বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।