বঙ্গোপসাগরে আগামী মঙ্গলবার নাগাদ একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেওয়া নাম। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদফতরের এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যেই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিয়ে থাকি। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না সেটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তবে একটা আশঙ্কা তো রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সাপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে৷ বিশেষ করে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে চলতি অক্টোবর মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে লিখেছেন, আজ ১৮ অক্টোবর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, লঘুচাপ থেকে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সম্ভাবনা রয়েছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার। সম্ভাবনা খুবই বেশি অক্টোবর মাসের ২২ তারিখ থেকে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার।
এদিকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আঘাত হানবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এর যে গতিপ্রকৃতি, তাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকেই এটি আঘাত হানতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনই বলা যায় না। বাংলাদেশের উপকূলে আসার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।