ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহদের মধ্যে ৩০ জনের প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বার্ন ইউনিটের ছয় তলায় ৬১৭ নম্বর রুমে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেক হস্তান্তরের সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম,আসিফ মাহমুদ সজীব ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানান, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কাজ গুছিয়ে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে; এই সংগঠনের মাধ্যমে আহত ও শহীদের পরিবারের অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তথ্য জানাতে ১৬০০০ এই নাম্বার চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নাম্বার চালু থাকবে। আহতরা পরবর্তীতে কিভাবে চলবে সেটা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তাদের দায়িত্ব সরকার ও ফাউন্ডেশন নিবে। ঢাকার বাইরের আহতদেরও অর্থ পাঠিয়ে সাহায্য করা হবে বলেও জানান তিনি।
নাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে অনেককে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত হতাহত ১৭৬ জনকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা সাহায্য দেয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলার ক্ষেত্রে লিগ্যাল টিম কাজ করছে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, দলীয় নামে শহীদদের তালিকা তৈরীর চেষ্টা হচ্ছে। তবে শহীদদের কোনো দলীয় ব্যানারের নামে সংকুচিত করা উচিত নয় বলে জানান তিনি। গণহত্যায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধ বলেন, আমরা একটি ফাউন্ডেশন করেছিলাম। সেখানে আমাদের ঘোষণা ছিল শহীদদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেয়া হবে। এ ছাড়া, তাদেরকে আরও আর্থিক অনুদান দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।