বর্ষা মৌসুমের শেষে এসে দেশে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ফের বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যাও।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অগাস্ট মাসের দ্বিগুণেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার একটি আশঙ্কা তারা আগেই করেছিলেন। সে অনুযায়ী তখন ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরের ১০ দিনে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ৮১৯ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৬৬৪ জন রোগী। একদিনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর এই সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০৫৫ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৩৯ জন, মার্চ মাসে ৩১১ জন, এপ্রিল মাসে ৫০৪ জন, মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী ভর্তি হন হাসপাতালে। জুলাই মাসে ভর্তি হন ২৬৬৯ জন।
অগাস্ট মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫২১ জন, যা জুলাইয়ের প্রায় আড়াইগুণ। আর সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৯৭৮ জন রোগী।
সোমবার সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬১৫ জন রোগী, যা এ বছর একদিনে ভর্তি রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা। এদিন সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়। এই সংখ্যাও এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে দৈনিক গড়ে ৩৪ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১২ জন, মার্চে ১০ জন, এপ্রিলে ১৭ জন, মে মাসে ২১ জন, জুন মাসে ২৭ জন করে রোগী ভর্তি হয়েছিল। জুলাই মাসে তা বেড়ে গড়ে ৮৬ জনে দাঁড়ায়। অগাস্ট মাসে দৈনিক গড়ে ২১৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে।
আর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে দৈনিক ভর্তি রোগীর গড় সংখ্যা ৩৯৮ জন।