ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশিষ্টজনেরা তাঁদের এ কাজের প্রশংসা করছেন। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা যেহেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে ভবিষ্যতে ট্রাফিক পুলিশকে সড়ক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান এসব কথা বলেন। সম্প্রতি সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীরা ‘সুষ্ঠুভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ সড়কের দাবি’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করতে পারবেন। ট্রাফিক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে তরুণসমাজ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রাস্তায় শৃঙ্খলা আনার প্রশংসা করে মো. মুনিবুর রহমানও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নতুন মাত্রা এনেছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের বিষয়টি সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। যেহেতু এখন পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে সড়ক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে সড়কে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মো. দাইয়ান নাফিস, মাহেরা আফরোজ, সাব্বির আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, শাকিরা বিনতে আলম, মুনতাকিম ইসলাম ও অন্তরা খাতুন বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মোহাম্মদপুর ল কলেজের প্রবীণ শিক্ষক মো. আবদুল খালেক বক্তব্য দেন।