ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হারুন ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চলমান সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯-এর ২৬ (২) ধারা প্রযোজ্য হবে। চিঠিতে হারুন অর রশিদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেয়া হয়েছে।
স্থগিত করা হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
এদিকে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানিয়েছেন, বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
দুদক সচিব বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে কমিশনের অনুমোদনক্রমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনেকদিন আগে থেকেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান ছিল। যাচাই-বাছাইয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর, কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।