সম্প্রতি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে চার শতাধিক ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ছিল এবং থাকবে। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চায়। ছাত্র-জনতা তাকে কোনোভাবেই হতে দেবে না। আমাদের মূল দাবি হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মামলা দায়ের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। উপদেষ্টাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তাই আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন। খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না। এ সময় ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতির বিষয়ে হাসনাত বলেন, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিল। সেই দখলদারিত্বের রাজনীতির পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে। আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। আমরা ৫ আগস্ট দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর পর ৬ তারিখ থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র জানতা তা দমন করেছি। এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনো একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেব না। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে হাসিনার সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিব। আওয়ামী লীগ পরাজিত শক্তি নানান কূটকৌশল আঁকছে, আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবে ১৫ আগস্টের ক্যু করার পরিকল্পনা সফল হতে দিব না।