প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে ২০টি মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ সময় কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। চার দিনের সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চীন সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ হতে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে।
চীন সফরে দুই দেশের বাণিজ্যিক চুক্তি গুলোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাণিজ্যিক আলোচনার জন্য এই সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল থাকছে।
চীনে আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। বিশেষ করে কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে যেসব শুল্ক বাধা আছে তা নিয়ে আলোচনাব করা হবে। এ ছাড়া অতীতের যে সকল চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। চীনের সহযোগিতায় আমাদের পূর্ব উন্নয়ন ও চাইনিজ কমিউনিটি পার্টি সঙ্গে আলোচনাও চলমান থাকবে।
চীন থেকে আমরা কি পরিমাণ ঋণ পেতে পারি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরে ঋণের বিষয়ে কোনো ফাংশান নেই। এ নিয়ে দু দেশের আলোচনা হতে পারে, তবে অফিসিয়াল প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ ডিফেন্সের জন্য সরবরাহকৃত চীনের অস্ত্রগুলো নিম্নমানের, বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, মিডিয়ার তথ্যে এমন খবর উঠে এসেছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করার আগে বিষয়টি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।
তিস্তা বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ নদী, ফলে তিস্তা নিয়ে ভারতের প্রস্তাব আগে বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে ইতিমধ্যে ভারত একটি প্রস্তাব দিয়েছে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশের তারা একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে বলেও জানিয়েছে। তিস্তা নিয়ে চীন যে প্রস্তাব দিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে তিস্তা ভারতের সঙ্গে আমাদের যৌথ নদী হওয়ার কারণে এই বিষয়ে ভারতের প্রস্তাব আগে বিবেচনায় নিতে হবে।