২০২২ সালের হিসেবে জনাকীর্ণ কংক্রিটের বিরাট নগরী ঢাকায় কমপক্ষে এক কোটি দুই লাখ লোক বসবাস করে। ঢাকাসহ এশিয়ার অনেক নগরই জলবায়ু পরিবর্তনের বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে৷ চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা দেয়৷ এতে ঢাকার বাসিন্দাদেরও কেমন করে চরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা দেওয়া আছে৷ খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল করে গড়ে তুলতে হলে ঢাকা নিয়ে কাজ করতে হবে৷’
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৫০ নাগাদ বাংলাদেশকে কার্বন নিউট্রাল করতে হবে৷ সেজন্য কৌশল হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক যানের ব্যবহার বাড়ানো, সবুজায়ন, প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বন্যার পূর্বাভাস ও ২০৩০ সাল নাগাদ নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা৷
প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সমন্বয় রেখে ৬০টিরও বেশি শহর জলবায়ু পরিকল্পনা তৈরি করেছে৷ এর মধ্যে ভারতের মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু আছে৷ পাকিস্তানের করাচিও তৈরি করছে৷ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি বলছে, কার্বন নির্গমন কমাতে না পারলে ২১০০ সাল নাগাদ ছয়টি দক্ষিণ এশীয় দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে৷
ঢাকা ২০৫০ সাল নাগাদ ৭০ ভাগ কার্বন নির্গমন কমাবে৷ তবে আর্থিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, এবারের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এ গরিব দেশগুলোর অর্থায়নের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে৷