মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকায় আরও এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ২১টি কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিলো ক্রয় কমিটি।
বুধবার (৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান ব্রিফিংয়ে সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।
সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর আওতায় ‘মাস্টার সেল এন্ড পারসেজ এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য হতে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷
বৈঠকে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে জানিয়ে সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে এই এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। প্রতি এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজির দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৯৭ মার্কিন ডলার।
এর আগে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ বিধানের আওতায় জাপান থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি কার্গোতে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি হয়ে থাকে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে এ পরিমাণ জ্বালানি আমদানির খরচ হবে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩১২ টাকা।
জ্বালানি বিভাগের আরেক প্রস্তাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (২০২১ সনের সবশেষ সংশোধনসহ) অনুসরণে ‘সিলেট–১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর–১৩ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ শীর্ষক প্রকল্পের কূপ খনন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ও সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন, চায়নার মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মাহমুদুল হোসাইন খান। এই খনন কার্যক্রমে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব ও রাশিয়া থেকে ডিএপি ও এমওপি সার কেনা, এডিবি, এএফডি, জিইএফ এবং জিওবি–এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর–এয়ারপোর্ট) ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-আরপিডব্লিউ ১.২–এর ক্রয় প্রস্তাব এবং গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় সংশোধিত) চারটি ভ্যারিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।