ছাগলকাণ্ডে বহুল সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলকে পাঠানো চিঠিতে এ আদেশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ম্যাজিস্ট্রেট ও বাবুকে নিয়ে মোবাইল উদ্ধারে যাচ্ছে ডিবি
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিও হিসাব জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দুদকের পক্ষ থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে শেয়ারবাজারে থাকা বিও হিসাব জব্দের জন্য আবেদন জানানো হয়। দুদকের ওই আবেদনের পর বিএসইসি এসব বিও হিসাব জব্দের ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে এখন পর্যন্ত মতিউর ২০টির মতো ১৬টি বিও অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে মতিউর রহমানের নামে চারটি, প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার নামে তিনটি ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর নামে পাঁচটি বিও হিসাব রয়েছে।
এনবিআরের বড় কর্তা হলেও ২০০৮ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে শেয়ারবাজারে জড়িত ছিলেন ছাগলকাণ্ডে বহুল সমালোচিত মতিউর রহমান। দুইভাবে তিনি বাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। এগুলো হলো-প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করতেন। সরকারি চাকুরি বিধিমালা অনুসারে এ ধরণের কাজ বেআইনি এবং অনৈতিক।
বিশ্লেষকদের মতে, একইসঙ্গে তিনি কয়েকটি অপরাধ করেছেন। প্রথমত তিনি সরকারি বিধিমালা লংঘন করেছেন। দ্বিতীয়ত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
তৃতীয়ত তিনি সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন করেছেন। চতুর্থত তিনি শেয়ার লেনদেন করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইতিমধ্যে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এনবিআর। এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে।