প্রায় সময়ই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। কারিগরি ত্রুটি ছাড়াও অকারিগরি কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান তিনি।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা/কোম্পানির ৪ কোটি ৭১ লাখ গ্রাহক রয়েছে। কারিগরি কিংবা অকারিগরি কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে বিদ্যুৎ বিল যাতে যথাযথ হয় সে বিষয়ে বহুবিধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ভুতুড়ে বা অস্বাভাবিক বিল রোধে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রি-পেইড বা স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বকেয়া থাকলে নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ভুতুড়ে বিলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সে অভিযোগ যাচাই করে এর প্রতিকারসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অধিবেশনে লোডশেডিং নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় চাহিদার তুলনায় প্রাপ্তি কম হওয়ায় সীমিত আকারে লোডশেডিং হয়েছে। এছাড়াও অনেক সময় রক্ষণাবেক্ষণ কাজে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য লোডশেডিং করা হয়। তবে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সারাদেশে সমতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।