sylhet1

সিলেট বিভাগের জন্য ‘জীবনরক্ষকারী জরুরি বন্যা পূর্বাভাস’ দিলো আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ, পলাশ

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় সিলেট বিভাগে অতিভারি বৃষ্টিপাতের তথ্য দিলো কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে আবারও সিলেট বিভাগের উপরে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়ে বুধবার (১৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত চলার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। চলমান ভারি বৃষ্টি ২১ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বন্যা পূর্বাভাস আপডেটে তিনি আরও জানান, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন করে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার উপরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা অপেক্ষা কয়েকগুণ বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে মেঘালয় পর্বতের ওপরে। তার মতে, আজ রাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার জন্য। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে রাখা পরামর্শও দেন তিনি।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে পূর্বাভাস দিয়েছেন জানিয়ে এ গবেষক বলেন, বিকেলের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও রাত ১২টার পর থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। রাত ৩টার পর থেকে আবারও সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মেঘালয় পর্বত এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ভোর ৬টার পর থেকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে সুনামগঞ্জ জেলার কোনো কোনো স্থানে নদীর পানি সাময়িকভাবে কমা শুরু করলেও মধ্যরাতের পর থেকে আবারও তা বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে জানান গবেষক পলাশ।

জলবায়ু বিষয়ক এ গবেষক আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে সিলেটে জুনের দিকে ৮৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে ২০২৪ সালে জুনের ১৭ দিনেই ১৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৮৪ শতাংশ বেশি।

Scroll to Top