‘ঈদের ছুটিতে রাজধানীর চারটি বড় হাসপাতাল ভিজিট করে একজন ডাক্তার হিসেবে লজ্জা লাগছে। একটি হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে গিয়ে বুঝা যায় এই হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা কী। একজন ডাক্তার হিসেবে খুব লজ্জিত হই। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা সেমিনারে যখন যাই তখন শুধু একটি কথাই শুনতে পাই যে, বাংলাদেশ প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসাসেবায় উন্নতি করেছে। সেজন্য সবাই প্রথমেই শেখ হাসিনার নাম নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।’
দেশের যে সমস্ত ক্লিনিকের অনুমোদন নেই বা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার উপযোগি নয় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সম্প্রতি অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে অনেক রোগী মারা গেছেন।
বর্তমানে অ্যানেসথেসিয়া ড্রাগ হ্যালোজিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা যে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ব্যবহার করবে, যে ফার্মেসি বা দোকানে বেচাকেনা হবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ খুব বেশি কিছু চান না, তারা শুধু চিকিৎসাসেবা চান। স্থানীয় সংসদ সদস্যরা যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নজর দেন তবে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হতে বাধ্য।
প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা সেই আলোকেই কাজ করে যাচ্ছি।’
সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার বলেন, ‘মন্ত্রী কোথাও ভিজিট করলে আমরা সঠিক বিষয়টি মন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরি না। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বুঝানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালটির সেবার মান সঠিক ও পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত আছে।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সিভিল সার্জন মুশিয়ার রহমান সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।