জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। প্রতিবছরই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দূর্যোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় দেশকে। তাই এইসব দুর্যোগ প্রতিরোধে স্থানীয় জ্ঞান কাজের লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
২৬ মে বাংলাদেশে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, বিধ্বস্ত হয় উপকূল। ঘূর্ণিঝড় শেষ হতে না হতেই দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা।
একই সময় দেশজুড়ে অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম। আবার শীতের সময়ও বেড়েছিল শীতের তীব্রতা। ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টানো আবহাওয়া সব মিলিয়ে টালমাটাল করে ফেলেছে জনজীবন।
পানির স্তর নেমে গিয়ে হুমকির মুখে ফেলেছে কৃষি ও কৃষিপণ্যের উৎপাদন। আর উপকূলে লবণাক্ততার প্রভাবে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য। প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণের কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। গবেষকরা বলছেন, উন্নত দেশগুলোর কার্বণ নিঃসরনের ভুক্তভূগী বাংলাদেশ।
গবেষক জাকির হোসাইন খান বলেন, বাংলাদেশের সুযোগ আছে যে মডেল ফলো করার কারণে সারা পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, সে মডেলকে পাশ কাটিয়ে আমরা নিজস্ব প্রকৃতি নির্ভর অর্থনীতি বা সুবজ অর্থনীতি সাজানোর জন্য। কার্বন লাগবে কারণ কার্বন ছাড়া পৃথিবী টিকবে না। কার্বন অত খানিই করব যেটা আমার প্রকৃতি ক্ষতি না করে।
বাংলাদেশ বর্তমানে কার্বণ নিঃসরণ করছে ০.৪৭ শতাংশ। গবেষকরা বলছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তা বেড়ে হবে ১ শতাংশ। যার লাগাম টানতে হবে এখনই।