সন্ত্রাসবাদ বা উগ্রবাদ বৈশ্বিক সমস্যা। শুধু গ্রেফতার করে বা জেলখানায় রেখে এটা দমন করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের বিশেষ করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি বিরাট দায়িত্ব এবং ভূমিকা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উদ্যোগে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদবিরোধী জনসচেতনতামূলক পথনাটক ‘এসো ফিরি আলোর পথে’ নাটকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসবাদ বা উগ্রবাদ দমন করার জন্য অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও আমরা বেছে নিয়েছি। তারই অংশ হিসাবে আজকের এ নাটকটি মঞ্চস্থ হলো। যেখানে নাটক ছোট কিন্তু মেসেজ অনেক। কীভাবে হতাশাগ্রস্ত তরুণদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, সেটি এ নাটকে দেখানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিশেষ করে উদীচীর অনুষ্ঠানে, ছায়ানটের অনুষ্ঠানে, এক সঙ্গে দেশের ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে। বাংলা ভাই আব্দুর রহমানের যুগ ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছি ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলায়। এর পর থেকেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
নাটকটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। জায়েদ জুলহাসের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত লেনিন। পরিবেশনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সদস্যরা।