দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও ভোটার খরা অব্যাহত ছিল। এই ধাপে বেশির ভাগ চেয়ারম্যান খুব কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪৬টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা ওই এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম জনসমর্থন নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বিবরণী পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
গত দুই ধাপের মতোই তৃতীয় ধাপে ভোটের হার ৩৬ শতাংশের আশপাশে। ফলাফল বিবরণী অনুযায়ী ৮৬টি উপজেলায় এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.২৪ শতাংশ। এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৩৬.১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ছিল ৩৭.৫৭ শতাংশ। গত ৮ মে ১৩৯ উপজেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ভোটে ৮১টিতে এবং ২১ মে ১৫৬টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ৮৯টি উপজেলায় বিজয়ী চেয়ারম্যানরা ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।
গত দুই ধাপের মতোই তৃতীয় ধাপে ভোটের হার ৩৬ শতাংশের আশপাশে। ফলাফল বিবরণী অনুযায়ী ৮৬টি উপজেলায় এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.২৪ শতাংশ। এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৩৬.১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ছিল ৩৭.৫৭ শতাংশ। গত ৮ মে ১৩৯ উপজেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ভোটে ৮১টিতে এবং ২১ মে ১৫৬টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ৮৯টি উপজেলায় বিজয়ী চেয়ারম্যানরা ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন।
৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে ১৪টি উপজেলায়। সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ১৩.৬৪ শতাংশ। এই ধাপে ২০ শতাংশ ও এর নিচে ভোট পড়েছে তিনটি উপজেলায়। গত বুধবার ৭৪ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি ভোটার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে না বিধায় বিগত কয়েকটি নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোটের হার কম থাকাটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে শাসক দল নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। সে হিসেবে ভোটের হার ঠিকই আছে। গত কয়েকটি নির্বাচন থেকেই মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছে না। কারণ জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী প্রার্থী নেই, তাঁদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নেই।’মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের ভোটের হার ২৫ শতাংশের নিচে
তৃতীয় ধাপের ভোটে মন্ত্রী-এমপিদের ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাঁদের মধ্যে ১৮ জন চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটের আগেই একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর আটজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ২৫ শতাংশ বা এর কম ভোটে।
১৪.৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নওগাঁর রানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাহিদ সরদার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের ছেলে। দলীয় প্রতীক না পেয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ওই সংসদীয় আসনের শিবপুর উপজেলায় তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী ইসলাম মোট ভোটারের ১৭.৮৩ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।