ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চারটি বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার বঙ্গবাজারে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে ইতিমধ্যে নানা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল শনিবার যে চারটি বড় প্রকল্প উদ্বোধন করবেন, সেগুলো হলো ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতানের নির্মাণকাজ, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট সারির ইনার সার্কুলার রিং রোডের নির্মাণকাজ, ধানমন্ডি লেকের নজরুলসরোবরের নির্মাণকাজ এবং শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্কের আধুনিকায়নের কাজ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করতে আসছেন। এই চার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকাবাসীর জীবনমান বৃদ্ধি পাবে।
শাহবাগে জিয়া শিশুপার্কের নতুন নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্ক করা হয়েছে। প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শিশুপার্কের আধুনিকায়নের কাজ করা হবে। আগে এই পার্কে ১১টি রাইড ছিল। সেখানে ১৫টি অত্যাধুনিক রাইড বসানো হবে।
২০২৩ সালের ৪ এপ্রিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার। সূত্র বলছে, নির্মিতব্য বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণিবিতানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৯৬১ জনের সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে। পুড়ে যাওয়া মার্কেটে ব্যবসায়ীরা আগে ১৭ থেকে ২২ বর্গফুট আয়তনের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। নতুন বিপণিবিতানে প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১২০ বর্গফুট।
পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট সারির ইনার সার্কুলার রিং রোডে নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা, ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ, তিনটি ভেহিকেল ওভারপাস, তিনটি পথচারী পারাপার সেতু, দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল, তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে।
নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি লেকে নজরুলসরোবর নির্মাণ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। শনিবার এই কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ‘নজরুলসরোবর’ নামের উন্মুক্ত বিনোদন মঞ্চে একটি ঘাটলা, উন্মুক্ত মিলনায়তন, পথচারীদের হাঁটার পথ, গণপরিসর, রেস্তোরাঁ, বসার স্থান, দৃষ্টিনন্দন বাতি, পর্যাপ্ত সবুজায়ন ও শব্দযন্ত্র স্থাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় মুহূর্ত ও সাহিত্যকর্ম–সংবলিত ফলক স্থাপন করা হবে বলে দক্ষিণ সিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।