যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর এটি।
এই সফরকে ঘিরে আবারও সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ডোনাল্ড লু’র এই সফর নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই, এমন দাবি বিএনপির।
তবে তার এবারের সফর যতোটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রদফতর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করবেন তিনি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আর পেছনে ফিরে যাবে না। নিষেধাজ্ঞার পুরনো শঙ্কা উড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমরা কোনো উত্তাপ ছড়াতে যাইনি। যেহেতু সামনে আর কিছু নেই, তাই ডোনাল্ড লু এসে সরকার হঠানোর অভিসন্ধি আছে কি না তা বিএনপি ভালো বলতে পারবে।
ডোনাল্ড লুর এই সফর একেবারেই আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বললেন, ডোনাল্ড লুর এই সফরের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এবারের এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
সফরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও কথা বলবেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, সেখানে বাংলাদেশের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে।