বর্তমানে তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে চলমান কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবা সহজ করার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। ডিএনসিসির মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ দখলে থাকা খাল উদ্ধার, ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যানজট নিরসন, মশা নিধন, পরিবেশবান্ধব সড়ক বাতি স্থাপন, পার্ক-খেলার মাঠ আধুনিকায়ন, ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল চালু, পাবলিক টয়লেট স্থাপন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নগরের উন্নয়নে সমঝোতা চুক্তিসহ জলাশয় রক্ষায় কাজ শুরু করেন।
সুস্থ ঢাকা ইশতেহারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র। উত্তর সিটি এলাকায় এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করছে ডিএনসিসি।
এ ছাড়া বাসাবাড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় ৫৫টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। আমিনবাজারে ল্যান্ডফিলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসির প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, গত চার বছরে ২৪টি পার্ক ও খেলার মাঠ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া মিরপুরে ১৬ বিঘা জমির ওপর (বালুর মাঠ) একটি মাঠের জায়গা প্রধানমন্ত্রী ডিএনসিসিকে দিয়েছেন। চলতি বছর উদ্বোধন করা হয়েছে গুলশানে ডা. ফজলে রাব্বি পার্ক।
মশা নিয়ন্ত্রণ
সিটি করপোরেশন নাগরিকদের যেসব সেবা দিয়ে থাকে এর মধ্যে মশা নিধন বা নিয়ন্ত্রণ অন্যতম। এ জন্য ডিএনসিসি ৫৪টি ওয়ার্ডে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ ছাড়া বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশা নিধনে ল্যাব স্থাপন এবং পাঠ্যপুস্তকে এডিস মশা সম্কর্কে সচেতনতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএনসিসি। লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং করছে। এডিসের লার্ভা পেলে ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করছেন।
বায়ুদূষণ রোধ
বায়ুদূষণ রোধে জার্মান প্রযুক্তির অত্যাধুনিক স্ক্রে-ক্যানন ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। এ ছাড়া ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার দিয়ে দৈনিক চার লাখ লিটার পানি ছিটানো হয়। সম্ক্রতি দাবদাহের মধ্যে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে স্ক্রে ক্যাননের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পানি ছিটানো হয় বলে জানান মেয়র।
গত বছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছে উত্তর সিটি। চলতি বছর আরো এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানো হবে।
খাল উদ্ধার
২০২১ সালে ওয়াসা থেকে ২৯টি খালের দায়িত্ব বুঝে পায় ডিএনসিসি। এরপর খাল উদ্ধার, খনন, পরিষ্কার, খালের পার সবুজায়ন, সাইকেল লেন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ শুরু করে ডিএনসিসি।
যানজট নিরসন
যানজট নিরসনে প্রথম ধাপে গুলশানের পাঁচটি স্কুলে স্কুল বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। মহাখালী বাস টার্মিনাল ভাটুলিয়ায় এবং গাবতলী আন্ত জেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে হেমায়েতপুর নেওয়া হবে। তেজগাঁও এলাকায় অবৈধ পার্কিং বন্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের কাজ চলমান।
ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আনুমানিক ৫০টি ইলেকট্রিক বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি। অবশ্য চলতি বছরের মধ্যে নগর পরিবহনে ১০০টি ইলেকট্রিক বাস চালু করার উদ্যোগ থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।