সারা দেশে ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৪০ হাজার জন বীর মুক্তিযোদ্ধা/উপকারভোগীকে তিনশ টাকা হারে প্রথম ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতাসহ; বাৎসরিক দুটি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। গত (২০১৮-১৯) অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি দুই হাজার টাকা হারে এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে ৬০৯৬.৫৩২৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা/পরিবারকে আবাসন সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর আওতায় উপজেলাওয়ারী বিদ্যমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হচ্ছে।
ওই প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৭টি আবাসন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ১০ হাজার ৮৮৯টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।